একজিমা, যার অন্য নাম হল এটোপিক ডারমাটাইটিস, একটি চর্মরোগবিশেষ। শরীরের ভিতর থেকে অথবা বাইরে থেকে কোন বস্তু যখন ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে থাকে, তখন দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতি-সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে ত্বকের উপরে একজিমা হয়। যে বস্তুগুলি দেহের বাইরে থেকে প্রভাব ফেলে সেগুলির মধ্যে আছে রাসায়নিক পদার্থ এবং ড্রাগস। ভিতর থেকে যেগুলি প্রভাব ফেলে সেগুলি হল বিভিন্ন এন্টিজেন (বিষাক্ত বা বাইরের বস্তু) এবং হ্যাপটেনস (এক ধরণের এন্টিজেন)। সাধারণত একজিমার উপসর্গগুলি হল চুলকানি, লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, রস বার হতে থাকা এবং ছাল উঠে যাওয়া। একজিমার চিকিৎসা এবং এর আরোগ্যের সম্ভাবনা নির্ভর করে একজিমার ধরণের উপরে এবং রোগীর বয়সের উপরে।
একজিমা ত্বকের একটি সমস্যা। ত্বকে খড়খড়ে, লাল রঙের ছোপ দেখা
যায়। এই ছোপগুলি ফুলে যায় এবং ফোসকা পড়ে। যার ফলে চুলকানি হয়। তীব্র চুলকানি এবং আঁচড়ানোর জন্য
কখনও কখনও রক্তক্ষরণ হতে পারে। একজিমা হলে চামড়ার মোটা পড়ত ডার্মিস ফুলে যায়।
দেহের যে কোন অংশে, যে
কোন বয়সে একজিমা হতে পারে। একজিমা শব্দটি এসেছে একটি গ্রীক শব্দ থেকে যার অর্থ
"ফুটিয়ে তোলা"। একজিমাতে চামড়া দেখলে সত্যি মনে হয় চামড়া ফুটছে। কাজেই
আগের যুগের চিকিৎসকরা সঠিক ভাবেই এই রোগের নামকরণ করেছিলেন।
একজিমার বিভিন্ন ধরণ আছে। এর মধ্যে কতকগুলি আছে যেগুলি
হওয়ার কিছু সনাক্তযোগ্য পরিবেশগত কারণ আছে। আবার কতকগুলি আছে যেগুলি আরও জটিল। সব
ধরণের একজিমার ক্লিনিকাল লক্ষণ এবং উপসর্গ একই রকমের শুধু তাদের সময়কালের তারতম্য
হয়, অর্থাৎ তীব্র বা
দীর্ঘস্থায়ী। এগুলি হচ্ছে:
এটোপিক একজিমা বাচ্চাদের মুখমণ্ডল এবং মধ্য-শরীরে হয়।
যেহেতু বাচ্চারা প্রভাবিত জায়গায় আঁচড়াতে থাকে তাই চামড়া উঠে যায় এবং লাল হয়ে যায়।
এটোপিক একজিমাতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সর্ব প্রথম গালে হয়। যেখানে ডায়াপার পড়ানো হয়
সেই জায়গাগুলি সাধারণত প্রভাবিত হয় না। বাচ্চাদের ফুসকুড়ি গুলি দেখা যায় হাঁটুর
পিছনে, কনুইয়ের সামনে, কব্জিতে এবং গোড়ালিতে।
এটোপিক একজিমা কখনও কখনও জননেন্দ্রিয়তেও হয়। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, একটি হাল্কা ধরণ
লক্ষ্য করা যায় এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে ছাল ওঠে; এগুলি হয় হাতে, চোখে, শরীরের ভাজে এবং
স্তনাগ্রে।
সেবোরোহিক একজিমা হলে ছোট ছোট চামড়ার স্তর দেখা যায়। এগুলি
দেখা যায় মাথায়,
মুখমণ্ডলে
এবং দেহের ঊর্ধ্বাংশে। বাচ্চাদের এই রোগ হলে ক্র্যাডেল ক্যাপ (মাথায় হালকা এবং
চটচটে চামড়া ওঠা) হয় এবং বগলে ও কুঁচকিতে ফুসকুড়ি হয়। এই ফুসকুড়িগুলি গোলাপি রঙের
হয় এবং সাধারণত কম চুলকানি হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত ব্লেফারাইটিস (চোখের পাতার সীমানায়
লাল চামড়ার স্তর হওয়া) দেখা যায়। বয়স্কদের প্রভাবিত জায়গাগুলিতে চুলকানি কম হয়, এবং একজিমা সাধারণত
শীতকালে হয়।
ডিসকয়েড একজিমা দুই ধরণের হয়। একটি ধরণ হচ্ছে তীব্র ধরণের, তার থেকে রস বার হতে
থাকে। আর একটি শুখনো ধরণের। দুই ধরণই শরীরের উপরের অংশে হয়। ডিসকয়েড একজিমাতে
পরিষ্কার গোল বা ডিম্বাকৃতি লালচে ক্ষত দেখা যায়। এই ক্ষতগুলিতে ব্যথা হয়।
যন্ত্রণাদায়ক কন্টাক্ট একজিমাতে, প্রথম দিকে ক্ষত শুধু সেই
জায়গাতেই হয় যে জায়গাটাতে রোগের প্রাথমিক স্পর্শ লেগেছিল। ক্ষত লাল রঙের হয়, তাতে ফোসকা হয় এবং
ত্বকের খোসা পড়তে থাকে। ধীরে ধীরে জায়গাটি শুখিয়ে যায় এবং চামড়া ফেটে যায়।
অ্যালার্জি হয় এমন বস্তুর ছোঁয়া যেখানে লেগেছিল সেই জায়গায়
অ্যালার্জিক কন্টাক্ট একজিমা হয়। যদি যত্ন না নেওয়া হয়, তাহলে এটি অন্য জায়গাতেও ছড়িয়ে
পড়তে পারে। এলার্জেনের থেকে যদি কয়েক দিন দূরে থাকা যায়, তা হলে ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।
ত্বকের রঙ লাল হয়, চুলকানি
হয়, ফুলে যায় বা শুখনো হয়ে
যায়। এই রোগ নিকেল ধাতুর (গয়নাতে থাকে) ছোঁয়া লেগে কানের লতিতে এবং কব্জির কাছে হয়।
এস্টিয়াটটিক একজিমা সাধারণত পায়ের নিচের অংশে হয়। ত্বক
লালচে রঙের হয়। ত্বকে সূক্ষ্ম ফাটা থাকে এবং উঁচু নিচু হয়। ক্ষতগুলি হীরার আকৃতির
হয় আর লাল রঙের ব্যান্ডের মত নেটওয়ার্ক থাকে। গুরুতর অবস্থায় ফুলে যায় এবং ফোসকা পড়ে।
স্ট্যাটিস একজিমা কে শিরার একজিমাও বলা হয় কারণ শিরার
ত্রুটির জন্যই এটি হয়। এর উপসর্গগুলি হল ফুসকুড়ি, ফোস্কা, গাঢ় ত্বক, পায়ে পুরু চামড়া, শুষ্ক ত্বক, আলসার প্রভৃতি। ক্ষত
অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং চুলকানি দায়ক হতে পারে।
লিচেন সিম্পলেক্স একজিমা বেশির ভাগ সময়ে ঘাড়ে, পায়ের নিচের দিক এবং
পায়ু-জননেন্দ্রিয় এলাকায় হয়। এটি দেখতে একটি লম্বা বা ডিম্বাকৃতির ফলকের মত। এতে
তীব্র চুলকানি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে ঘায়ে রঙ দেখা যায়। চুলকানির জন্য আঁচড়ের দাগও
থাকে।
পমফোলিক্স হাতের তালু আর পায়ের তালুতে হয়। ক্ষতে অনেকগুলি
গুটিকা এবং বুদবুদ দেখা যায়। এই ক্ষতে তীব্র থেকে তীব্রতর চুলকানি হতে পারে, সাথে জ্বালাও হবে।
ফোসকা ফেটে গেলে ত্বক শুষ্ক এবং লালচে হয়ে যাবে যাতে অনেক ফাটা থাকবে এবং
বেদনাদায়ক হবে।
একজিমা
( Eczema ) –এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
অ্যানাকার্ডিয়াম ( Anacardium ): হস্তাঙ্গুলি, চক্ষু-পল্লব,
মুখমণ্ডল, বুক, গলা,
অণ্ডকোষ, প্রভৃতি স্থানে অসহনীয় চুলকানি সহ
একজিমা ।
অ্যান্টিম ক্রুড ( Antimonium Crudum): অত্যধিক স্থুল ও কঠিন মধুবর্ণের মামড়ীযুক্ত একজিমা, চতুঃপার্শ্বে অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, রাত্রিকালে, স্নানের পর বা জলে কাজ করিবার পর বৃদ্ধি। গোসলে
অনিচ্ছা হাতে কনুই পায়ে হাটুতে পাছায় পদ্না কাটার মত উদ্ভেদ চুলকায়। জিহ্বায় সাদা
বর্ণের প্রলেপযুক্ত রোগীদের এন্টিম ক্রুড অধিক উপযোগী ।
আর্সেনিক ( Arsenicum
Album): পুরাতন একজিমা, চর্ম কঠিন ও
দৃঢ় হইয়া যায়, মস্তক, মুখমণ্ডল,
নিন্ম পদদ্বয়, প্রভৃতি হইতে শুষ্ক আইস ও
হ্যাজাকর দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে এবং ভীষণ জ্বালা করে ও চুলকায়, রাত্রিকালে ও ঠাণ্ডায় বৃদ্ধি, উত্তাপ প্রয়োগে উপশম । পরিস্কার
পরিচ্ছন্ন সৌখিন শীত কাতর রোগী একজিমায় অত্যন্ত চুলকানী যত চুলকায় ততই চুলকাইতে
ইচ্ছা চুকানির পর ভীষন জ্বালা সেই জ্বালার কথা ভেবে চুলকানী বন্ধ করে।
সেবন বিধি : শক্তি 200 দুই মাত্রা উপকার পাওয়া যায় ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।
বোভিষ্টা ( Bovista):
জলে কাজ করিবার জন্য হাতের পিছনে একজিমা, চুলকাইলেও চুলকানির নিবৃত্তি হয় না, মুখের
চতুর্দিকে ও নাসিকায় একজিমা।
ব্রোমিয়াম (Bromium): মস্তকে একজিমা, সমগ্র মস্তক বেষ্টন করিয়া টুপীর ন্যায় মামড়ী পড়ে, মস্তকে স্পর্শ সহ্য না ।
ক্যাল্কেরিয়া কার্ব (Calcarea Carb): স্থূলকায় শিশুদিগের দন্তোদগমকালে মস্তকে একজিমা – মস্তক হইতে মুখমণ্ডল পর্যন্ত
বিস্তৃত হয় – নিদ্রোখিত হইবার পর শিশু প্রবলভাবে মস্তক চুলকাইয়া রক্তপাত করে, নিন্মপদ, নাভিতে, জানুতে
ও কনুইতে রক্তস্রাবী একজিমা ( শীর্ণকায় শিশুদিগের – ক্যাল্কেরিয়া ফস, হলুদাভ সবুজ রস-ক্ষরণ হইলে – ক্যাল্কেরিয়া সালফ ) ।
ক্যান্থারিস (Cantharis): প্রদাহিক স্থানের উপর একজিমা –
অত্যধিক জ্বালা ও চুলকানি, ক্রমশঃ বিস্তৃত
হইয়া পড়ে, উত্তাপে বৃদ্ধি । মুত্রত্যাগকালে জ্বালা ও কুন্থন।
চেলিডোনিয়াম (Chelidonium): যকৃৎ পীড়াগ্রস্ত ব্যাক্তিগণের
নিন্মপদে একজিমা ।
সিকিউটা ভিরোসা (Cicuta Virosa): মস্তকে একজিমা । বিশেষ চুলকায় না, সমগ্র মস্তক বেষ্টন করিয়া টুপীর ন্যায় পাতিলেবু বর্ণের মামড়ী পড়ে, মস্তকের একজিমা প্রতিরুদ্ধ হইয়া মস্তিস্ক বিকার ।
কোনিয়াম ( Conium): মুখমণ্ডলে, বাহুতে ও যোনির উপরিস্থ কেশময় স্থানে একজিমা, চটচটে রস ক্ষরণ হইয়া কঠিন মামড়ী পড়ে, প্রায়ই মাথা
ঘোরে – শয্যায় শয়নকালে মাথা ঘোরার বৃদ্ধি ।
ক্রোটন টিগ (Croton
Tig): মস্তক হইতে পদতল পর্যন্ত
সর্বশরীরব্যাপী একজিমা, মুখমণ্ডল,
চক্ষুপল্লব, অণ্ডকোষ ও জননেন্দ্রিয়ের উপর
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফুস্কুড়ি জন্মে ও ভয়ানক চুলকায় ও জ্বালা করে এবং নিকটস্থ গ্রন্থিসমূহ
স্ফীত হয়, ধীরে ধীরে চুলকাইলে উপশম বোধ ।
গ্র্যাফাইটিস (Graphites): স্থুল দেহ, স্বল্প ঋতু, শুষ্ক ও ঘর্মবিহীন চর্ম
এইরূপ ব্যাক্তিগণের ( পুরুষ বা স্ত্রী ) একজিমা, কর্ণের
পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া গ্রীবা ও গণ্ডদেশে বিস্তৃত হইয়া পড়ে, কর্ণের পশ্চাতে ও গ্রীবা, প্রভৃতি আক্রান্ত স্থান
ফাটিয়া যায়, একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে চটচটে মধুর ন্যায় রস
ক্ষরিত হয় এবং অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে । কর্ণ ও মস্তকের পশ্চাৎ, করতল, প্রত্যঙ্গাদির ভাঁজ, মলদ্বারের
চতুষ্পার্শ্ব, প্রভৃতি স্থানে একজিমা প্রকাশ পায় এবং উক্ত
স্থানসমূহ গভীরভাবে ফাটিয়া যায়, ক্ষতস্থান স্পর্শ করিলে আদৌ
যন্ত্রণাবোধ হয় না ।
হিপার (Heper
Sulp): মস্তকে একজিমা – অত্যধিক বেদনাযুক্ত, স্পর্শ সহ্য হয় না, জননেন্দ্রিয়ে, উরুতে ও অণ্ডকোষে একজিমা – অত্যধিক চুলকায় ও দুর্গন্ধ বাহির হয়, নূতন ফুস্কুড়ি জন্মিয়া ক্রমশঃ বৃদ্ধি পায়, অত্যধিক
শীতকাতর এবং ক্ষতস্থান স্পর্শ অসহ্যবোধ করে ।
জুগল্যান্স সিনেরিয়া (Juglans Cinerea): হস্তপৃষ্টে ও হাতের কব্জিতে একজিমা, অসহ্য চুলকানি ও বেদনায় রোগী আদৌ নিদ্রা যাইতে পারে না, আরোগ্য হইতে না হইতেই পুনরায় প্রকাশ পায় ।
ক্যালি আর্স (Kali
Ars): পুরাতন শুষ্ক একজিমা, নিন্মবাহুর চর্ম স্বাভাবিক অপেক্ষা স্থুল, শরীর উত্তপ্ত হইলেই অত্যধিক চুলকায়, প্রাতে
সন্ধিস্থানে চর্ম ফাটিয়া যায়, রসপূর্ণ উদ্ভেদসহ পুনঃ
প্রকাশিত হয় ।
ক্যালি মিউর (Kali
Mur): ঋতুস্রাবের বিপর্যয় অথবা
টীকা দিবার কুফলস্বরূপ – ঘন শ্বেতবর্ণের পদার্থপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, ক্ষত হইতে অস্বচ্ছ সাদা পুঁজশ্লেষ্মাময় আস্রাব নির্গত হয় এবং
চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা ও সর্বস্থানের
শ্লৈষ্মিক ঝিল্লী হইতে ঘন সাদা বা হলুদাভ হড়হড়ে শ্লেষ্মা নির্গত হয় ।
ল্যাপ্পা-আর্কটিয়াম (Lappa-Arctium): চামড়ার রোগ চিকিৎসায় এটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ বিশেষ । মাথায় মুখমণ্ডলে ও
ঘাড়ে উদ্ভেদ সমূহ, ফুস্কুড়িসমূহ,
ব্রন। আঞ্জনি ও চোখের পাতার কিনারায় ক্ষতসমূহ । প্রচুর ও বারে-বারে
প্রস্রাব । গুচ্ছ গুচ্ছ ফোঁড়া ও আঞ্জনিG সর্বদা রসে ভিজিয়া থাকে
অত্যন্ত দুর্গন্ধ ঘায়ের উপরে সাদা রঙের মামড়ি পড়ে ।কানের পার্শে চোয়ালে বা ঘাড়ে
গ্ল্যান্ড ফুলিয়া উঠে ।
সেবন বিধি : শক্তি 3x ২-৪ ফোটা বয়স অনুপাতে দৈনিক চার মাত্রা ।
লাইকোপোডিয়াম
(Lycopodium): মস্তকের পশ্চাৎ হইতে সূচিত হইয়া
মুখমণ্ডল পর্যন্ত বিস্তৃত একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ নিঃসরণ
হয় এবং স্থুল মামড়ী পড়ে, সহজেই রক্তপাত
হয়, নিন্মপদে ও পায়ের ডিমে গভীর ফাটল ও স্থুল মামড়ীযুক্ত
একজিমা, অত্যধিক চুলকায় এবং চুলকাইলে উত্তপ্ত হইলে এবং
অপরাহ্ণে ৪ টা হইতে ৮ ঘটিকা মধ্যে যাতনা অত্যধিক বৃদ্ধি পায় ।
ম্যাঙ্গানাম (Manganum): পুরাতন একজিমা, কনুই ও অন্যান্য সন্ধিস্থানে গভীর ফাটল ও অত্যধিক বেদনা হয়,
মাসিক ঋতুস্রাবকালে একজিমার বৃদ্ধি ।
মার্ক – সল (Merc
Sol): ক্ষত হইতে ঘন হলুদাভ
মামড়ী ঝরে এবং তাহার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহ সংঘটিত হয়, অত্যধিক চুলকায় এবং রাত্রিকালে ও শয্যার উত্তাপে চুলকানি
বৃদ্ধি পায় – চুলকাইলে বেদনা ও রক্তপাত হয় । সর্ব শরীরে চটচটে ঘাম হয় । মুখে
প্রচুর লালা জন্মে ।
মেজেরিয়াম (Mezereum): মস্তক হইতে শরীরের সকল স্থানেই
একজিমা প্রকাশ পাইতে পারে এবং ক্ষতের উপর শুষ্ক চামড়ার ন্যায় স্থুল মামড়ী পড়ে ও
তাহার নীচে পুঁজ জন্মে, মস্তকে হইলে
চুল জুড়িয়া যায়, ভয়ানক চুলকায়, চুলকাইলে
তাহা আরও বৃদ্ধি পায় । শিশু মস্তক, মুখমণ্ডল, প্রভৃতি ভীষণভাবে চুলকাইয়া মামড়ী টানিয়া তুলিয়া ফেলে, মস্তক, মুখমণ্ডল প্রভৃতি রক্তাক্ত হয় এবং ক্ষত মধ্যে
মেদপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে, সমগ্র নিন্ম পদের উপর উচ্চ শ্বেত
বর্ণের মামড়ী, উত্তাপে চুলকানি বৃদ্ধি পায়।
সেবন বিধি: শক্তি 200 বা 1m পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি দুই
মাত্রা সেবনেই উপকার হয় ।
নেট্রাম মিউর (Natrum
Mur): মস্তকের উপর এক কর্ণ হইতে
অপর কর্ণ পর্যন্ত বিস্তৃত সাদা মামড়ী ও তাহার নীচ হইতে পুঁজ নিঃসরণ হইয়া চুলকায়, মুখের চতুষ্পার্শ্বে, জানুর খাঁজে,
শরীরের সর্বস্থানেই চর্মের ভাঁজে ভাঁজে একজিমার উদ্ভেদ জন্মে ও
তন্মধ্য হইতে হ্যাজাকর চটচটে রস ঝরে ।
নেট্রাম সালফ (Natrum
Sulp): একজিমা হইতে প্রচুর পরিমাণে জলবৎ তরল রস নির্গত হয়, রসপূর্ণ ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, সমগ্র
শরীরে স্থানে স্থানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলপূর্ণ ফুস্কুড়ি জন্মে ।
নাইট্রিক অ্যাসিড (Nitric Acid): মস্তকে, কর্ণকুহরে বা
মিয়েটাসের উপর, জননেন্দ্রিয়ে, বাহুতে
হস্তে, মলদ্বারের চতুষ্পার্শ্বে একজিমা, একজিমা মধ্যে কণ্টকবিঁধনবৎ বেদনা ও সহজেই রক্তপাত হয় ।
ওলিয়েণ্ডার (Oleander): শিশুদিগের মস্তকের উপর জলপূর্ণ
ফুস্কুড়িযুক্ত একজিমা, মস্তকের ও
কর্ণের পশ্চাতে আইসযুক্ত উদ্ভেদ – পিপীলিকাদংশনের ন্যায় কুটকুট করে ।
পেট্রোলিয়াম (Petroleum): অসহ্য চুলকানি; জ্বালারপাড়াভাব,
শুষবক বা রসস্রাবী। চুলকানির জন্য রাতে ঘুমাতে পারেনা। মুখমণ্ডলে, গ্রীবায়,
মস্তকের পশ্চাতে, অণ্ডকোষে, পেরিনিয়ামে ও উরুতে হলুদাভ সবুজ স্থুল মামড়ী, অত্যধিক
চুলকায়, ব্যথা করে ও চর্মে গভীর ফাটল হয় ( গ্র্যাফাই,
লাইকো ), হস্ত পৃষ্টে একজিমা, পদাঙ্গুলি মধ্যে একজিমা ও দুর্গন্ধযুক্ত পদ ঘর্ম, শীতকালে
একজিমা প্রকাশ পায় গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয় ।
সোরিনাম (Psorinum): শুষ্ক মামড়িযুক্ত বা রসস্রাবী
একজিমা। অতি পাতলা রস সর্বদা নিসৃত হয়। রস যেখানে লাগে সেখানটা হেজে যায়। কানের
পিছনে অসহ্য চুলকানি। ঠান্ডা বাতাসে ভয়। একজিমা গ্রীষ্মকালে অন্তর্হিত হয় ও শীতকালে প্রকাশ পায়, অত্যধিক চুলকায় এবং তাহা রাত্রিকালে শয্যার উত্তাপে বৃদ্ধি
পায় ( ক্লিমেটিস, মার্ক, মেজেরি,
সালফ ), প্রবলভাবে চুলকাইয়া রক্তাক্ত করিয়া
ফেলে, সোরাদুষ্ট, ভগ্নস্বাস্থ্য,
দুর্বল, শীতকাতর, চর্মরোগপ্রবণ,
গণ্ডমালা ধাতুগ্রস্ত শিশু বা ব্যক্তিগণের, যাহাদের
গাত্র হইতে সর্বদাই দুর্গন্ধ বাহির হয়, স্নান করিলেও তাহা
দূর হয় না, তাহাদের পক্ষে বিশেষতঃ অন্যান্য সুনির্বাচিত ঔষধ,
এমন কি, সালফার বিফল হইলে ইহা উপযোগী
রাস-টক্স (Rhus
Toxicodendron): মস্তকে একজিমা স্কন্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়, স্থুল মামড়ী পড়ে অত্যধিক চুলকায়, রাত্রিকালে বৃদ্ধি
পায়, অণ্ডকোষ ও উরুর ভিতর দিকে একজিমা হইতে প্রচুর রস ক্ষরণ
হয়, বর্ষা ও শীতকালে বৃদ্ধি ।
সার্সাপ্যারিলা ( Sarsaparilla): কপালে ও
মুখমণ্ডলে একজিমা, একজিমার চতুষ্পার্শ্বে প্রদাহাম্বিত হয়
এবং মামড়ীগুলি বায়ুস্পর্শে পড়িয়া যায় এবং ক্ষতস্থানে গভীর ফাটল হয় ও জ্বালা করে ।
সিপিয়া (Sepia): অন্তঃসত্ত্বাবস্থায় একজিমা, শরীরে সর্ব স্থানেই হইতে পারে, লাল
ফুস্কুড়ি জন্মে, অত্যধিক চুলকায় ও চুলকাইবার পর জ্বালা করে। প্রথমে
শুষ্ক থাকে, শীঘ্রই দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজের ন্যায় প্রচুর
আস্রাব হয় এবং তাহা শুকাইয়া মামড়ী পড়ে ও পরে ফাটিয়া ঝরিয়া যায় ।
সাইলিসিয়া (Silicea): অধিক পুঁজ-স্রাবী একজিমা, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে, চুলকাইলে
বৃদ্ধি, আচ্ছাদিত রাখিলে উপশম ।
স্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphysagria): শিশুদিগের মস্তকে মুখমণ্ডলে ও কর্ণের নিকটে একজিমা, গণ্ডদেশে, কর্ণের পশ্চাতে ও মস্তকের উপর
স্থুল হলুদাভ মামড়ীর নীচে দুর্গন্ধময় পুঁজ জন্মে এবং অত্যধিক চুলকায়, একস্থানে চুলকাইলে তথা হইতে নিবৃত্ত হইয়া অন্যস্থানে চুলকায়, মাথার চুল ঝরিয়া যায় ।
সালফার (Sulphur): যে সকল শিশু অথবা ব্যক্তিগণ
নোংরা থাকিতেই ভালবাসে, পরিষ্কার হইবার
প্রয়োজন বোধ করে না, স্নান করিতে চায় না, যাহাদের গাত্রচর্ম কর্কশ এবং প্রায়ই নানাপ্রকার উদ্ভেদ জন্মে, গাত্র হইতে দুর্গন্ধ নির্গত হয় তাহাদের সর্বপ্রকার চর্মরোগেই সালফার
উপযোগী । ইহাতে চর্মরোগে গাত্র অত্যধিক চুলকায়, চুলকাইলে
জ্বালা ও বেদনা হয় এবং রাত্রিকালে ও স্নান করিলে চুলকানি বৃদ্ধি পায় ।
থুজা (Thuja Occidentalis): টীকা দেওয়ার কুফল স্বরূপ একজিমা অথবা টীকা লইবার পর
একজিমার বৃদ্ধি, গাত্রচর্মে হস্তস্পর্শ
সহ্য হয় না, ভীষণ চুলকায় এবং চুলকাইবার পর দারুণ জ্বালা করে,
শরীরের অনাবৃত অংশে ঘর্ম হয় এবং আবৃত অংশে উদ্ভেদাদি জন্মে ।
ভিনকা মাইনর (Vinca
Minor): মস্তকে, মুখমণ্ডলে ও কর্ণের পশ্চাতে একজিমা, চুলকায়,
চুলকাইলে জ্বালা করে, দুর্গন্ধযুক্ত রস ঝরে ও
চুল জুড়িয়া যায় ।
ভায়োলা ট্রাইকলার (Viola Tricolor): শিশুদিগের মস্তকে ও মুখমণ্ডলে একজিমা, অতি স্থুল মামড়ী পড়ে ও তাহার তলদেশ হইতে প্রচুর পরিমাণে ঘন হলুদবর্ণের রস
নির্গত হইয়া চুল জুড়িয়া ফেলে, অত্যধিক চুলকায় ও জ্বালা করে –
রাত্রিকালে বৃদ্ধি হয়, একজিমা সহ গ্রীবাগ্রন্থির স্ফীতি,
মুত্রে দুর্গন্ধ ।
আর্সেনিক আয়োড: দাড়িতে একজিমা, মামড়িযুক্ত, জ্বালা পোড়া। চুলকানি, জ্বালারপোড়া, জলের মতো
পাতলা রস। ধুলে বা স্নান করলে বৃদ্ধি, শরীরের শীর্ণতা।
টেলুরিয়াম: কানের পশ্চাতে একজিমা, বৃত্তাকার, মামড়ি যুক্ত। পায়ে ঘাম, হাতে পায়ে চুলকানি,
প্রবল চুলকানি। আক্রান্ত স্থান হতে দুর্গন্ধ ছাড়ে, হুল ফুটানো ব্যথা। একজিমা
চক্রাকারে হয়, দাঁদ, চক্রকার দাঁদ।
হাইড্রোকোটাইল: চর্ম অত্যন্ত পুরু হয়ে উঠে যায়।
চামড়া শুষ্ক, খসখসে, বুকে পুঁজ বটিকা। সোরাইসিস দোষ যুক্ত রোগী, শুষ্ক যুক্ত
চর্মরোগ। দুই যন্ত্রের মধ্যবর্তী স্থান স্ফীত, প্রদাহ ভাব।
চিবুকের বামদিকের হাড়ে বেদনা। শুষ্ক উদ্ভেদ। মোটা মোটা আইসের মতো ছাল উঠে। পায়ের
তলায় অসহ্য চুলকানি; প্রচুর ঘাম।
ক্যালি বাইক্রম (Kali Bich): বিভিন্ন প্রকার চর্ম পীড়া গ্রীষ্মকাল আসিলে বৃদ্ধি পায় শীত কালে আপনা সারিয়া
যায় ।রোগী শীত কাতর হইলে ও গ্রীষ্মকাল কাল ছেলে অসহ্য ।
সেবন বিধি : শক্তি 200 সকাল বিকাল দুই বার ।পুরাতন রোগে 10m বা
আরো উচ্চ শক্তি ।
সাইকিউটা (Cicuta
Viro): মাথায় ছোট বড় পুজ পূর্ণ
কুস্কুরি একজিমা তাহার উপর মামড়ি পড়ে। মামড়ির নীচে হলুদ বা সাদা রঙের গাঢ় পুজ
মামড়ির নীচে হলুদ রেঙর পুজ সমস্ত মাথায় ছড়াইয়া পড়ে ।
সেবন বিধি : শক্তি 200 দুই মাত্রা সেবনেই আরোগ্য হয় ।উচ্চ শক্তি অধিক ফল দায়ক
।রোগী আরোগ্য হইয়াছে ।
ভিনকা মাইনর (Vinca
Minar): মাথায় মুখে কানের পশ্চাতে একজিমা তাহার উপরে চটা বা চোয়ালে পড়ে বা ঘাড়ে
গ্ল্যান্ড ফুলিয়া উঠে ।
সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 প্রত্যহ তিন মাত্রা ।পুরাতন রোগে 200
দিনে দুই বার ।
কোর্যালিয়ম (Croallium): হাতের পায়ের তলায় একজিমা
অত্যন্ত চুলকায় পায়ের তলায়েএকজিমা এই ঔষধ প্রয়োগ করিতে দিয়া আমি কয়েকটি রোগী
আরোগ্য হইতে দেখিয়াছি ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই মাত্রা ।পুরাতন রোগে
উচ্চ শক্তি ।
নেট্রাম কার্ব (Natrum
Carb): রোগী অত্যন্ত শীত কাতর ।শীত কালে ঠান্ডা একেবারেই অসহ্য ।হাতে আঙ্গুলে ফাটা
ফাটা একজিমা ।একজিমা অত্যন্ত চুলকায়
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 সকাল বিকাল দুই চার মাত্রা
সেবনেই উপকার হয় ।পুরাতন রোগে আরো উচ্চ শক্তি দুই মাত্রা ।
ডলিকাস (Dolicus): শরীরে কোন প্রকার উদ্ভেদ নাই তবুও ভীষন চুলকানী ।যত
চুলকায় ততই চুলকানী বাড়ে ।উদ্বেদ বিহীণ চুলকানীতে ডলিকস উত্তম ঔষধ ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 শক্তি প্রত্যহ এক মাত্রা সকাল
বিকাল দুই মাত্রা ।
এনাগেলিস (Anagallis): হাতে পায়ে আঙ্গুলে একজিমা
চামড়ার নীচে ঘামাচি মত এক প্রকার উদ্ভেবদ ।অত্যন্ত চুলকায় ইহাতে এনাগেলিস উপকারী ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 দিনে দুই মাত্রা ।কিছুদিন সেবনে না উপকার হইলে 200 শক্তি এক মাত্রা ।পুরাতন আরো উচ্চ শক্তি ।
টেলুরিয়ম (Telleurium)
: মাথা মুখে শরীরের বিভিন্ন
স্থানে রিং দাদ অথাৎ গোলাকার দাউদে অত্যন্ত চুলকানীতে ইহা মহ্যেষধ ।
সেবন বিধি : শক্তি 6 বা 30 দিনে দুই তিন বার কিছু অধিক দিন
ব্যবহার করিতে হয় ।পুরাতন রোগে ২00 বা আরো উচ্চ শক্তি ।
ব্যাসিলিনাম (Becillinum): শুস্ক একজিমায় অব্যর্থ ।শরীরের
বিভিন্ন স্থানে একজিমা চুলকাইলে গমের ভূষির মত আউশ উঠে ।চুলকানী যথেষ্ট কিন্তু
চুলকাইতে পর কোন রস বা কোষ উঠে না ।বদ মেজাজী রাগী শীত কাতর রোগীদের বেলায় ইহা
অধিক খাটে ।
সেবন বিধি : শক্তি 200 সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।উপকার না হইলে আরো উচ্চ শক্তি ।
রাস টক্স ও লিডম পাল (Rhus Tox & Ledem Pal): এক বা উভয় পায়ে হাটুর নীচে কাউর ঘা বিখাইজ চুলকায় রস
পড়ে সকালে রাস টক্স 30 বিকালে লিডম 30
এইভাবে কিছুদিন সেবনের পর 200 শক্তি উক্ত
নিয়মে আরো কিছুদিন সেবন করিলে কাউর ঘা আরোগ্য হয় ।ডাক্তার টেষ্টির অভিজ্ঞতা ।আমি
কাউর ঘায়ের রোগীতে উক্ত নিয়মে ঔষধ দুইটি ব্যবস্থা করিয়অ বহু রোগী আরোগ্য হইতে
দেখিয়াছি ।রোগ আরোগ্য হইয়া গেলে ও কিছুদিন পযন্ত ঐ ঔষধ দুইটি ব্যবহার করিলে কাউর
ঘা পুনঃ আক্রমনের ভয় থাকে না ।
স্পঞ্জিয়া (Spogia): কোন প্রকার চর্ম পীড়ায়
নির্বাচিত ঔষধ প্রয়োগ করিয়া উপকার হয় ।কিংবা কোন ঔষদের লক্ষন না শিলিলে এই ঔষধ
সেবনে নিশ্চয়ই আরোগ্য হইবে ।
সেবন বিধি : শক্তি Q২-৪ ফোটা বয়ষ অনুপাতে সামান্য জলের সহিত দিনে তিন বার ।
এলোজ (Aloge)
: খুজলি পাচড়া অন্ডকোষৈ
একজিমা নানা প্রকার চর্ম পীড়া শীত কাল আসিলে দেখা দেয় ।অলস প্রকৃতির মেজাজ খিটখিটে
রাগী গরমে কাতর এই ধাতুর রোগীদের ইহা অধিক উপকারী ।
সেবন বিধি : শক্তি 200 বা 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা ।পুরাতন
রোগে আরো উচ্চ শক্তি ।
ক্রোটন টিগ (Croton
Tig) : অন্ডকোষে রসযুক্ত বা শুস্ক একজিমা ভয়ানক চুলকায় চুলকানির জন্য ঘুমের ব্যঘাত
।শিশুদের মাথায় কুস্কুরিযুক্ত চর্মরোগে উপড় চটা পড়ে চটা উঠিয়া গেলে রস ঝরে এই
প্রকার চর্ম রোগের সহিত উদরাময় ক্রোটনে আরোগ্য করিতে পারে ।
সেবন বিধি : শক্তি 30 বা 200 তিন দিন অন্তর এক মাত্রা
।পুরাতন রোগে পক্ষকাল অন্তর ।
এনা কার্ডিয়াম অক্সি (Anacardium
Oce): ছেলে মেয়েদের নাকে মুখে বুকে বা
শরীরে বিভিন্ন শীত কালে বৃদ্ধি ।
সেবন বিধি : শক্তি 6, 30 দিনে তিন বার ।
বাইওকেমিক চিকিৎসা
ক্যালকেরিয়া ফ্লোর (Calcarea Flour): শরীরের বিভিন্ন স্থানে চর্ম পীড়া ফাটা ফাটা চর্ম পীড়া শীত কালে বৃদ্ধি ।
সেবন বিধি : শক্তি 12x হইতে উচ্চ শক্তি ।১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে দুই
বার ।
ক্যালকেরিয়া ফস (Calcarea Phos): রক্ত হীণ ফেকাশে দুর্বল রোগীদের নানা প্রকার চর্ম পীড়ায় ও বৃদ্ধি বয়সে গাত্র
চুলকানীতে ইহা অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়স অনুপাতে সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা ।
ক্যালি মিউর (Kali
Mur): বিভিন্ন প্রকার চর্ম পীড়ায় ভীষন
চুলকানী ।সাদা আঠালো রস নির্গত হয় ।গ্রীষ্ম কালে শিশুদের গায়ে জলপূর্ণ ফোস্কায় ইহা
অব্যর্থ ।
সেবন বিধি : শক্তি 6x,12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়ষ অনুপাতে প্রত্যহ দুই মাত্রা
।প্রয়োজনে আরো উচ্চ শক্তি ।
ক্যালি সালফ (Kali
Sulph): চর্ম পীড়া হইতে হলুদ বর্ণের আঠালো দুর্গন্ধ রস নির্গত হয় ।চুলকায় বাহ্যিক
মলমাদি প্রয়োগ করিতে চর্ম পীড়া বসিয়া অণ্য রোগের উৎপত্তে আরো উচ্চ শক্তি ।১-৪ বড়ি
এক মাত্রা বয়স অনুপাতে দিনে তিন বার ।
ক্যালকেরিয়া সালফ (Calcarea Sulph): মাথায় পুজ পূর্ণ একজিমা চটা পড়ে চটার নীচে হলুদ রঙের গাঢ় পুজ ।
সেবন বিধি : শক্তি 12x হইতে আরো উচ্চ শক্তি ।১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়ষ অনুপাতে দিনে
তিন বার ।
নেট্রাম ফস (Natrum
Phos): শিশুদের মাথায় দাদে দাউদ
নেট্রাম ফস উপকারী ।
সেবন বিধি : শক্তি 12x ১-৪ বড়ি এক মাত্রা বয়ষ অনুপাতে দিনে তিন বার ।