Arsenicum Album (ars) আর্সেনিকাম এলবাম

Arsenicum Album (ars) আর্সেনিকাম এলবাম

পরিচয়ঃ সেঁকো বিষ । আর্সেনিয়াস এসিড-আর্সেনিক-ট্রাই-অক্সইড । ইহার বিচূর্ণ ও তরলক্রম প্রস্তুত হয়

ধাতুগত বৈশিষ্ট্যঃ কৃপন, হিংসা পরায়ন, স্বার্থপর, সাহসের অভাব। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পছন্দ

· Antidote food/ ঔষধের ক্রিয়ানাশক খাদ্য: দুগ্ধ, কফি, কর্পূর

· Antidote / ক্রিয়ানাশকঃ চায়না, ক্যাম্ফর, ফেরম, গ্র্যাফা, হিপার, আয়োড, কাব্বো, চিন-সলফ, ভিরেট্রাম এল্বাম, ইপিকাক

ঔষধের পরিপন্থী বা অনিষ্টকর খাদ্য (Inimical food): মদ্য, ব্রান্ডি, অম্ল খাদ্য, তামাক, খৈনি, শিম, বরবটি, মটর-ডাল, মাখন, বাঁধা কপি, মাংস, কফি, ঠান্ডা খাদ্য ও ঠান্ডা পানীয়, বরফে জমানো খাদ্য, দুগ্ধ, লবণ, টক, ভিনিগার, কাঁচা শাকের চাটনী, চিনি । 

· Chemical Antidotes: Charcoal; Hydrated Peroxide of Iron; Lime Water.

· নিদারুণ দুর্বলতা, অস্থিরতা, মৃত্যুভয়

· মধ্য দিবা অথবা মধ্য রাতে বৃদ্ধি কিংবা মধ্য দিবা এবং মধ্য রাতে বৃদ্ধি

· প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে অল্প অল্প পরিমাণে পানি পান এবং পানি পান করেই বমি হয়

· জ্বালা এবং দুর্গন্ধ। প্রদাহযুক্ত স্থানে গরম প্রলেপ বা সেক পছন্দ করে

· পরিষ্কার পরিছন্ন থাকতে পছন্দ করে

· ছটফটানি, গাত্রদাহ এবং পিপাসা এই তিন লক্ষন অবশ্যই থাকবে

· আর্সেনিকের মত অস্থিরতা অন্য কোন ঔষধে নাই

· অবসন্নতা ও মধ্যরাত্রির পর বৃ্দ্ধি আর্সেনিকের সিদ্ধপ্রদ লক্ষণ

· ইহা রোগের বর্ধিত ও চরম অবস্থায় প্রযোজ্য; প্রথম অবস্থায় নহে

 

সর্তকতা: টাইফয়েড জ্বরে যদি অভ্রান্ত নির্দেশিত না হয়, তাহলে ইহা অপূরণীয় ক্ষতিকর হয় –ডাঃ এইচ. সি. মরো এবং কোয়াকেনবার্গ

যতক্ষণ আপনি আর্সেনিক নির্বাচন সম্বন্ধে নিশ্চিত না হন, ততক্ষন আর্সেনিকের যে কোন শক্তি কখনো ব্যবহার করবেন না –ডাঃ ঘটক

আর্সেনিক ব্যবহার করতে ভয় পাবেন না, তবে মনে রাখবেন আমাদের মেটেরিয়া মেডিকার অধিকাংশ ঔষধের মধ্যে আার্স হল দুইদিক ধারযুক্ত তলোয়ারের থেকেও বেশি শানিত অস্ত্র –ডাঃ ই. রাইট । 

 

কাতরতাঃ

· শীতকাতর (প্রথম গ্রেড)। কিন্তু মাথায় ঠান্ডা চায়। : [Dr. Robert Gibson Miller এবং James Tyler Kent]

· গরমকাতর (তৃতীয় গ্রেড): [James Tyler Kent]

মায়াজমেটিক অবস্থাঃ (মায়াজমের দোষ নষ্ট করার শক্তি)

· এন্টি-সোরিক (তৃতীয় গ্রেড)

· এন্টি-সাইকোটিক (দ্বিতীয় গ্রেড)

· এন্টি-সিফিলিটিক (দ্বিতীয় গ্রেড)

· এন্টি-টিউবারকুলার (দ্বিতীয় গ্রেড)

মূল কথাঃ

· উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালা, মৃত্যু ভয় এবং দুর্গন্ধ ইহার প্রধান চরিত্রগত লক্ষণ

· মানসিক অস্থিরতা, শারিরীক দুর্বলতা

· বিষন্নতা, অবসন্নতা, শীতকাতরতা, ভীতচিত্ততা এবং অসহিষ্ণুতা

· ইহা আত্মহত্যার প্রবৃত্তিতে পূর্ণ

· উদ্বেগ অস্থরতায় পরিণত হয়, সেজন্য সর্বদা নড়াচড়া করে

· সর্বদা ভয়, কে যেন তাকে ধরিতে আসিতেছে, কে যেন তাকে মারিবে

· অস্থিরতা, মানসিক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা এবং মৃত্যুভয়-উৎকন্ঠা ও ব্যাকুলতা সান্ত্বনাতে উপশমিত হয় না

· ঘাম ও স্রাবে পচাগন্ধ

· ঠান্ডা বাতাস, বিশেষতঃ বায়ু প্রবাহ একেবারেই সহ্য করিতে পারে না

· মনের বাহির দ্বারে যতটা ফিটফাট, মনের অন্তর দ্বারটি ততটা ফিটফাট নহে

· অপরের কাজের মধ্যে ছিদ্র অন্বেষণকারী

· হিংসুটে এবং প্রতিশোধ লইবার স্পৃহা

· নিদারুন দুর্বলতা, মানসিক অস্থিরতা, ও মৃত্যুভয়

· প্রচন্ড জ্বালা ও দুর্গন্ধ অথচ প্রদাহযুক্ত স্থানে গরম প্রয়োগে উপশম

· রোগী মনে করে সে আর বাঁচিবে না, বৃথা ঔষধ খাওয়া

· মধ্য দিবা কিংবা মধ্য রাতে বৃদ্ধি

· মধ্য দিনে বৃদ্ধি, মধ্য রাতে বৃদ্ধি

· রাত ১ টা থেকে ২ টায় বৃদ্ধি

· দিন ১ টা থেকে ২ টায় বৃদ্ধি

· প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে অল্প পানি পান/জল পান এবং পানি পান মাত্রই বমি; জল পান মাত্রই বমি; গরম পানি পানে বমির উপশম

· পুনঃ পুনঃ অল্প অল্প পানি পান করে

· পুরাতন রোগে তৃষ্ণাহীন

· সকল প্রকার জ্বালা গরম প্রয়োগে উপশম; শিরঃপীড়া ঠান্ডাতে উপশম

· গরমে উপশম। শিরঃপীড়া ঠান্ডায় উপশম

· জ্বালা উত্তাপ প্রয়োগে উপশম

· উত্তাপে উপশম

· প্রায়ই শরীরের ডান পাশে আক্রমণ

· ডানে আক্রমণ

· দুই/তিন দিন অন্তর রোগ আক্রমণের প্রাবল্য (নেট্রাম মিউর, চায়না)

· তরুন রোগে খাইবার ইচ্ছা একেবারে থাকে না; সবসময় গা বমি বমি ভাব থাকে (ইপিকাক, কলচিকাম, সিপিয়া)

· সাইকোটিক স্বভাবের কিছু কিছু সমাবেশ থাকিবেই থাকিবে

· কোন প্রকার সান্ত্বনাতে উপশমিত হয় না

· শিশু রোগী মানসিক অস্থিরতার দরুন মায়ের কোল থেকে বাবার, তারপর অন্যদের কোলে ঘুরিয়া বেড়াইতে পছন্দ করে

· ফ্যাট জাতীয় খাদ্য (দুগ্ধ, ঘি, চর্বিযুক্ত মাংস) পছন্দ

· চর্বি জাতীয় খাদ্য পছন্দ

· চিৎ হয়ে শয়ন করিতে পছন্দ

· চিৎ হয়ে শয়ন পছন্দ

· পযার্য়শীল, পালাক্রমে আক্রমণ ১ দিন অন্তর, ৪ দিন অন্তর, ৭ দিন অন্তর, ১৪ দিন অন্তর, ১৫ দিন অন্তর

· শীত প্রধান ঔষধ। আগুনের পাশে বসেও কাঁপে; যথেষ্ট কাপড় চায়; গরম ঘরে থাকতে চায়

· সন্তুষ্ট করা যায় না

· আবহাওয়ার পরিবর্তনে পুনঃ পুনঃ হাঁচি হয়

· সব সময় নাকে সর্দি লাগে

· খুতখুতে স্বভাব

· খুঁতখুঁতে স্বভাব

· পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন থাকিতে ভালোবাসে

· স্বাস্থ্য বিষয়ে দুশ্চিন্তা

· নিরাপত্তাহীনতা (স্বাস্থ্য বিষয়ে)

· মধ্য দিবা, মধ্য রাতে বৃদ্ধি

· প্রবল পিপাসা সত্ত্বেও ক্ষণে ক্ষণে অল্প অল্প পানি পান এবং পানি পান মাত্রই বমি

· জ্বালা ও দুর্গন্ধ

· পযার্য়ক্রমে মাথা ব্যথা এবং গেঁটে বাত

· মাথা ব্যথা ঠান্ডা প্রয়োগে উপশম কিন্তু গেঁটে বাত উত্তাপে উপশম, গরমে উপশম

· ফিটফাট

ব্যবহারস্থলঃ কলেরা, বসন্ত, টাইফয়েড জ্বর, নানাজাতীয় সাংঘাতিক জ্বর, ম্যালেরিয়া, ফোঁড়া, দুষ্টব্রণ, ওষ্ঠের ক্ষত, মুখের ক্ষত, নানা জাতীয় উদ্ভেদ, ক্যান্সার, হাঁপানি, শ্বাস যন্ত্রের প্রদাহ, ফুসফুস, আবরণ প্রদাহ, হিমাঙ্গাবস্থা, রক্তশুন্যতা, জ্বালা যন্ত্রনা, কম্পন, ক্ষয় জাতীয় রোগ, অজীর্ণ, চক্ষুর পীড়া, শিরঃপীড়া, হৃদযন্ত্রের পীড়া, মূত্রগ্রন্থির পীড়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে ইহা ফলপ্রদ

ক্রিয়াস্থলঃ দেহের এমন কোন স্থান নেই যেখানে এই ঔষধটি কায্যর্করী নহে । শরীরের প্রত্যেক যন্ত্র ও কোষে ইহার গভীর ক্রিযা প্রকাশ পায় । 

উপশম/হ্রাসঃ গরম পানীয়ে উপশম ও গরম খাদ্যে উপশম; গরম ঘরে উপশম; মাথা উঁচু করিয়া শুইলে উপসর্গের উপশম বা হ্রাস। শিরঃপীড়া ছাড়া সকল রোগে উত্তাপে উপমশ, শিরঃপীড়া ঠান্ডাতে উপশম

বৃদ্ধিঃ বেলা ১২ টা হইতে ৩ টা; রাত্রি ১২টা হইতে ২টা; ঠান্ডা জলে; ঠান্ডা হাওয়ায়; ঠান্ডা খাদ্যে; সিঁড়িতে উঠিলে; পিঠের উপর শুইলে হাঁপের ‍বৃদ্ধি; কিছু খাইলে; ঘামের সময়; বমির পর; বর্ষাকালে বৃদ্ধি; সমুদ্রতীরে বৃদ্ধি ; চর্মরোগ চাপা পড়িলে বৃদ্ধি; ডান দিকে বৃদ্ধি; বরফ খাইলে বৃদ্ধি; ফল খাইলে বৃদ্ধি; মদ্য পানে বৃদ্ধি; তামাক পানে বৃদ্ধি; কুইনাইনে; পাহাড়ে চড়িলে বৃদ্ধি; চিংড়ি মাছ খাইলে বৃদ্ধি, চুপ করিয়া থাকিলে বৃদ্ধি/বেদনার বৃদ্ধি

ক্রিয়া স্থিতিকালঃ ৬০-৯০ দিন

ঔষধের পরিপন্থী বা অনিষ্টকর খাদ্য (Inimical food): মদ্য, ব্রান্ডি, অম্ল খাদ্য, তামাক, খৈনি, শিম, বরবটি, মটর-ডাল, মাখন, বাঁধা কপি, মাংস, কফি, ঠান্ডা খাদ্য ও ঠান্ডা পানীয়, বরফে জমানো খাদ্য, দুগ্ধ, লবণ, টক, ভিনিগার, কাঁচা শাকের চাটনী, চিনি

  

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads