হোমিও টনিক

 কতিপয় হোমিও টনিক

                                       কতিপয় হোমিও টনিক

১) জরায়ুর টনিকঃ

(ক) যন্ত্রণাদায়ক ঋতুস্রাব, ঋতুশূলের  এবং স্বভাবগত গর্ভস্রাবপ্রবণ স্ত্রীলোকদের জন্য ভাইবার্ণাম প্রুণিফোলিয়াম তাহাদের জরায়ুর জন্য একটি উৎকৃষ্ট টনিক (ডা: এলন)। ডা: বরিক ইহাকে জরায়ুর পক্ষে শ্রেষ্ঠ বলকারক ঔষধরূপে বর্ণনা করেছেন মহিলাদের ঋতু সংক্রান্ত গোলযোগ তৎসহ জরায়ুর স্থানচুত্যি ইত্যাদিতে ইহার বিশেষ প্রয়োগ আছে।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ১০ ফোটা করে দিনে ২ বার।

(খ) স্ত্রীলোকদের জরায়ু সংক্রান্ত সর্ববিধ গোলযোগের জন্য সর্বোত্তম টনিক হলো এলেট্রিস ফেরিনোসা।

ইহার প্রধান লক্ষণ:

1) রক্তস্বল্পতা

2) পূণ:পুণ গর্ভধারণ বা পরিশ্রমের জন্য দুর্বলতা।

3) কষ্টরজ: ও প্রদরস্রাব।

4) গর্ভস্রাব প্রবণতা।

5) জরায়ুর স্থানচুত্যি।

6) ভয়ানক ধরনের কোষ্ঠবদ্ধতা।

ডাঃ এলেনের মতে, ইহা গর্ভকালের পক্ষে উৎকৃষ্ট টনিক।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ৫ ফোটা করে দিনে ২ বার।

এ প্রসঙ্গে ফ্লেক্সিনাস আমেরিকানা Q স্মরণ করা যেতে পারে। মূল অরিষ্ট ৫ ফোটা করে দিনে ২ বার।

২) পুংজনেনেন্দ্রিয়ের দুর্বলতা দূরীকরণের সুন্দর টনিক হলো সেলিক্স নায়াগ্রা

ইহার প্রধান লক্ষণ:

1) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন

2) অস্বাভাবিক মৈথুন

3) অত্যন্ত কামচিন্তা

4) অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ

5) অবাঞ্চিত শুক্রক্ষরণ।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ২০ ফোটা করে দিনে ২ বার। (ডাঃ এইচ. সি. এলেন)

৩) হৃদপিন্ডের টনিকঃ

হৃদপিন্ডের একটি উৎকৃষ্ট টনিক হলো ক্রেটিগাস অক্সিয়াকান্থা। হৃদপিন্ডের কোনো যান্ত্রিক পীড়া না হয়ে থাকলে ইহা অব্যর্থ ঔষধ।

ইহার প্রধান লক্ষণ:

1) অগ্নিমন্দ্য বা স্নায়ুবিক দুর্বলতা হেতু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ার বৈলক্ষণ্য।

2) হৃদপিন্ডের অবসন্নতার জন্য ইহার ক্রিয়া লোপের সম্ভাবনা।

3) অনিয়মিত হৃদক্রিয়া।

4) হৃদশুল।

5) মাথা ঘোরা ইত্যাদি।

মাত্রাঃ কঠিন অবস্থায় দ্রুত উপশমের জন্য ৫/১০ ফোটা জলে মিশিয়ে সেব্য। পুরাতরন অবস্থায় ৩/৪ ফোটা ২/৩ বার সেব্য। কিছুদিন ক্রমাগত ব্যবহার না করলে সুপল পাওয়া যায় না।

৪) দুর্বলতার টনিকঃ

যে কোনো দুর্বলকর রোগের পর, প্রসবের পর, অতিরিক্ত মস্তিষ্ক চালনার পর, অথ্যধিক হন্তমৈথুন অথবা স্বপ্নদোষের ফলে  স্নায়ুবিক অবসাদ, স্ত্রীলোকদের ঋতুকালীন মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, অনিদ্রা, হৃদকম্প ইত্যাদি প্রকার দুর্বলতার জন্য সর্বোত্তম টনিক হলো এভেনা স্যাটাইভা।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ১৫/২০ ফোটা করে দিনে ২ বার। (ডাঃ এইচ. সি. এলেন)

৫) ধাতু দৌর্বল্য, কোষ্ঠকাঠিন্য, অগ্নিমান্দ্য, উদরাময়, স্নায়ুবিকতা, অনিদ্রা ইত্যাদি রোগের উৎকৃষ্ট টনিক হলো আলফালফা।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ১৫/২০ ফোটা করে দিনে ২ বার। (ডাঃ এইচ. সি. এলেন)। অনেক দিন ব্যবহার্য।

৬) সুন্দর স্বাস্থ্যের টনিকঃ

শরীরের পুষ্টি সৌকর্য এর ব্যাঘাত হতে উৎপন্ন উপসর্গাদি। ক্ষুধা ও পরিপাক শক্তি বৃদ্দি করে মানসিক ও দৈহিক শৌয-এরবিপুর উন্নতি সাধন হয়। ইহা মেদ বৃদ্ধি করে এবং তন্তু নিচয়ের ক্ষয় নিবারণ করে পুষ্টি সাধন করে সুন্দর স্বাস্থ্য গঠনে সাহায্য করে- আলফালফা Q.

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ৫/1০ ফোটা করে দিনে 3 বার 2/3 মাস।

৭) বেবি টনিকঃ

 শিশুদের পুয়ে পাওয়া, হজম শক্তিহীন, ক্রমশ দুর্বল হতে থাকা, ক্রমশ শুকাতে থাকে- এ সকল অবস্থায় আলফালফা Q প্রযোজ্য।

মাত্রাঃ মূল অরিষ্ট ৫/1০ ফোটা করে দিনে 3 বার 2/3 মাস।

৮) মহিলাদের স্বাস্থ্য অটুট রাখার টনিকঃ

আলফালফা 1০ ফোটা করে দিনে 3 বার। এর সাথে আহারের পর ফাইভ ফস ৬x  ৫টি বড়ি দিনে ২ বার। জরায়ুর রোগের কারণে স্বাস্থ্যহানী হলে হেলোনিয়াস- ৩x /এলেট্রিস ফেরিনোসা/ফ্রাক্সিনাস আমেরিকানা ৩ ফোটা করে দিনে ২ বার।

৯) লিভারের টনিকঃ

লিভার বড়, কাদামল, কমলা রোগ, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি লক্ষণে চিওন্যান্থাস Q ৫ ফোটা করে দিনে ২/3 বার।

১০) যৌন দুর্বলতাঃ

যৌন দুর্বলতার জন্য সেলিক্স নায়াগ্রা Q, টার্ণেরা Q, এগনাস Q ১০ ফোটা (যেকোনো একটি) সামান্য পানির সাথে দিনে ৩ বার।

১১) অধিক বয়সের জন্য বা অধিক কাজ করে যারা দুর্বল এবং রক্তহীন ও নিদ্রাহীন এম্ব্রাগ্রিসিয়া ৩x তাদের টনিক।

১২) শরীর পুষ্টর জন্যঃ

স্নায়ুবিক দৌর্বল্য, লৌহিত কণিকার অভাব ইত্যাদির জন্য ‍লেসিথিন ২x দিনে ২ বার।

 

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم

Ads

Ads